২১ নভেম্বর ২০২৫, ০৬:৪৮ অপরাহ্ন, ২৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, শুক্রবার, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
মোঃ গোলাম রাব্বানী ডিমলা নীলফামারী ডিমলা প্রতিনিধিঃ
ডিমলা উপজেলার পশ্চিম ছাতনাই ইউনিয়ন ভুমি অফিসের উপসহকারী ভুমি কর্মকর্তা নুর আলম এর বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি ও উৎকোচ গ্রহণের অভিযোগ উঠেছে। ইউনিয়নবাসীর অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, পশ্চিম ছাতনাই ইউনিয়ন ভুমি অফিসের উপসহকারী ভুমি কর্মকর্তা নুর আলম দীর্ঘদিন যাবৎ ভুমি উন্নয়ন কর’ এর নির্ধারিত ফি বাদে অতিরিক্ত উৎকোচ গ্রহণ পূর্বক খাজনার রশিদ/ চেক প্রদান করেন।
উৎকোচ ছাড়া কোন খাজনার রশিদ তিনি কাটেন না। ভুক্তভোগী এলাকাবাসীরা বলেন আমরা তার নিকট অসহায়। কারণ আমরা অনেকে জমিজমার বিষয়ে অজ্ঞ। অনেকের মেয়ের বিয়ে দিতে হয়, আবার কেউ কেউ এক জায়গা থেকে জমি বিক্রি করে সুবিধামত অন্য জায়গায় জমি ক্রয়ের নিমিত্তে জমি কেনাবেচা করে।
তখন দলিল রেজিষ্ট্রেরির জন্য খাজনার রশিদ/চেক প্রয়োজন। বাধ্য হয়ে মানুষ তার ফাঁদে জিম্মি হয়ে পড়ে। তার কথামত খাজনার ফি ও উৎকোচ না দিলে খাজনার চেক/ রশিদ দিতে টালবাহানা করে। নানাবিধ অজুহাত ও সমস্যা দেখায়। এলাকাবাসীরা আরও অভিযোগ করেন, এস এ রেকর্ড হিন্দুদের নামে থাকা সত্বেও অথবা বি এস রেকর্ড ১/১ খতিয়ানে গেলেও বেশি টাকা উৎকোচ গ্রহণ করে যতসামান্য টাকার খাজনার চেক/রশিদ তিনি দিতেন।
এমন কয়েকজন ব্যক্তি মধ্যে ইউনিয়নের কালীগঞ্জ মৌজার মনিরুজ্জামান বিটুল এর নিকট হতে ১ একর জমির জন্য ১৩৭৯ হতে ১৪২৯ বঙ্গাব্দ পর্যন্ত =৭৩২ টাকার খাজনার চেক/ রশিদ প্রদান করে তার নিকট ৫৫ হাজার টাকা উৎকোচ গ্রহণ করেন তহশিলদার নুর আলম। কালীগঞ্জ মৌজার তছিরউদ্দিন নামে আরেক ব্যক্তির নিকট থেকে বি এস ১/১ খতিয়ানের অন্তর্ভুক্ত ৯৭ শতাংশ জমির খাজনা বাবদ =৭৪৭ টাকা ও ১ একর ২৪ শতাংশ জমির খাজনা বাবদ = ৯২২ টাকার ভুমি উন্নয়ন কর গ্রহণের চেক/ রশিদ প্রদান করে অবৈধভাবে ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা উৎকোচ নিয়েছেন তহশিলদার নুর আলম।
এছাড়াও সরকারি খাসজমি কবলিয়ত বন্দোবস্ত করে দেওয়ার কথা বলে তিনি অনেকের নিকট হতে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। সোমবার (২১ নভেম্বর) এমনসব অভিযোগের ভিত্তিতে এলাকাবাসী তার বিচার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নিকট আবেদন করে তাকে তার অফিসে আটকে রাখেন।
পরবর্তীতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ বেলায়েত হোসেন সরেজমিনে এসে ইউনিয়নবাসীর অভিযোগ শুনেন এবং অভিযোগের সততা পেয়ে উপসহকারী ভুমি কর্মকর্তা নুর আলমের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস প্রদান করে তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যান ।